সব কিছুই আছে, আছে ছবি, কিন্তু নেই সেই গন্ধ, স্পর্শ আর ভালোবাসা। স্টুডিওর সেই ভারী ক্যামেরা থেকে পকেটবন্দী মোবাইল ক্যামেরা এসেছে, কয়েক যুগ পেরিয়ে এসেছে ফটোগ্রাফি। সামান্য খরচে অনায়াসেই তোলা যাচ্ছে অসংখ্য ছবি, আর নিভেছে লাল আলো জ্বলা ডার্ক রুম।
বর্তমান ডিজিটালের যুগে হারিয়েছে স্টুডিও কালচার | ধুলো জমেছে স্টুডিওর অন্দরে। তবুও স্টুডিও আঁকড়ে বসে আছেন অনেকেই। আজ আমরা পৌঁছে গেছিলাম বহরমপুর এর অন্যতম পুরোনো এক স্টুডিও, 1952 সালে যে স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন রাজ বল্লব ধর। | খাগড়ার অজন্তা স্টুডিওর ভেতরে শিল্পীর কাজের উদাহারণ দর্শনীয়। স্টুডিওর ভেতর ঢুকলেই যেন টাইম মেশিনে চলে যাওয়া সেই ৮০-৯০ এর দশকে। চারদিকে সাজানো রয়েছে ছবি।
বংশ পরম্পরায় চলা এই স্টুডিও আঁকড়ে রয়েছেন পার্থসারথি ধর। পার্থসারথি জানান, তিনি চাইছেন যেন স্টুডিও বেঁচে থাকে। তাই আঁকড়ে ধরে রেখেছেন এই স্টুডিও।
বহরমপুরের স্টুডিও এখন যেন সংগ্রহশালা। কী নেই সেখানে ? ‘ফুল সাইজ ফিল্ড ক্যামেরা বা প্লেট ক্যামেরা যাই বলুন’, রয়েছে ‘ইয়াসিকা 65’, ‘ইনস্ট্যান্ট পাসপোর্ট ক্যামেরা ‘, ‘রোলি flex’, ‘মামিয়া প্রফেশনাল’, ‘পেন্টেক্স ক্যামেরা ‘, রয়েছে পুরোনো সেই ব্যাকগাউন্ড, ফ্ল্যাশ লাইট ‘মেকাপ ব্লিজ ‘।
এ ছাড়াও তাঁর সংগ্রহে রয়েছে মিনি ক্যামেরা বা স্পাই ক্যামেরা | এই স্টুডিওতেই রয়েছে “ডার্ক রুম” ; একটা সময় ছিল এই ডার্ক রুমেই ছবি প্রিন্ট হত | রয়েছে সেই মেশিনও | আজ সব কিছুতেই ধুলো জমেছে |
এই স্টুডিও যেন নিজেই ফোটোগ্রাফি শিল্পের এক সংগ্র শালা | পার্থ বাবু চান, স্টুডিওকে মিউজিয়ামে রুপান্তিরত করতে। তাতে যদি বেঁচে থাকে পুরনো ধারা।